স্বদেশ ডেস্ক: ঘাম হওয়া মানে আমরা মনে করি শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত ঘাম কারও জন্যই ভালো নয়। যারা অতিরিক্ত ঘামেন তাদের শরীরে কোনো না কোনো সমস্যা থাকতে পারে। মারাত্মক কিছু হওয়ার আগেই তাই প্রতিকার করা প্রয়োজন। এবং জেনে নেওয়া দরকার কেন আপনার অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে।
কারা বেশি ঘামে: সংক্রমণের ধরন অনুযায়ী জ্বর, শীত লাগা, অতিরিক্ত ঘামা এবং আরও অনেক কিছুতে আক্রান্ত হতে পারেন। বেশি ঘামলে সংক্রমণের বিষয় ভাবতে হবে। টাইপ এক এবং দুই উভয় ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে ঘামের মাধ্যমে। গর্ভাবস্থা বা অন্য কারণে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে, যাকে বলে গ্যাস্টেশনাল ডায়াবেটিস। ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ঝামেলা হলেও এমনটা হয়। অনেকের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক কম থাকে। অস্বাভাবিক ঘাম হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। বিশেষ করে বয়স ৪৫ এর বেশি হলে কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত ঘাম হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা প্রকাশ করে। উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান কিংবা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে। মানসিক উত্তেজনা, রাগ, ভয়, উদ্বেগের কারণে ঘাম বেড়ে যেতে পারে। রাতে ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘেমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। যক্ষ্মা বা লসিকাগ্রন্থির ক্যানসারে রাতে ঘাম হয়।
প্রতিকার: অতিরিক্ত গরম বা রোদে বেশি ঘেমে গেলে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, ঝিমঝিম করে। পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাই বেশি ঘামলে পানি বা স্যালাইনের পানি অথবা ডাবের পানি পান করুন। ডায়াবেটিস রোগীরা হঠাৎ বিন্দু বিন্দু শীতল ঘামলে রক্তে শর্করা কমে গেছে। এমন হলে দ্রুত চিনির শরবত খেতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসের রোগীদের স্নায়ুজনিত সমস্যা হলে খাবার সময় বা পরে মাথা, কপাল, ঘাড় বেশি ঘামতে পারে। উদ্বেগজনিত সমস্যা থাকলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। কোনো দুশ্চিন্তায় বেশি ঘামা, হাত-পায়ের তালু ঘামা উদ্বেগের লক্ষণ। সঙ্গে বুক ধড়ফড়ানি থাকতে পারে। থাইরয়েড সমস্যায় একই ধরনের উপসর্গ। তাই থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করতে পারেন। এ ছাড়াও দৈনিক শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি বা পানীয় জাতীয় খাবার পান করতে হবে।